তোড়িয়া ইউনিয়নের নামকরন ও ইতিহাস
অতিতে যা ঘটেছে আজ তা ইতিহাস। আজ যা ঘটছে ভবিষেৎ তা হবে ইতিহাস। প্রতিটি সৃষ্টির একটি কারন বা ইতিহাস রয়েছে । গুরুত্বপুর্ন হওয়া সত্ত্বেও কিছু ইতিহাস অলিখিত থেকে যায় । কালের বির্বতনে তা আবার বিলুপ্তি হয়ে যায় । তেমনি তোড়িয়া নামকরনের ইতিহাস আজ প্রায় বিলুপ্ত । তোড়িয়া নামকরনের কিছু নিদর্শন আজোও পাওয়া যায় । এ এলাকার জন বসতি গড়ে উঠেছিল তর নদী কে কেন্দ্র করে । প্রবিন লোক জনের মাধ্যমে জানা যায় যে তারা তাদের পিতা মহের মুখে শুনে এই তর নদী, এক সময় খুব গভীর ও স্রোত ছিল যে নদীতে দিয়ে বিভিন্ন দেশ বিদেশের মানুষ জাহাজ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করিতে আসত । নিদর্শন সরুপ বলা যায় কয়েক বছর পূর্বে মাটি খনন করিতে গিয়ে জাহাজের শীল পার পাওয়া গেছে । এই নদীর শেষাবেশ তূর্রকা মনি এখনও বিদ্যমান । প্রাপ্ত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষন করে দেখা যায় যে, ১২০৩খ্রীঃ তূকী বীর ইখতিয়ারদিন মুহাঃ বখতিয়ার খলজি বিহার জয় করেন এবং ১২০৫খ্রীঃ নদীয়া দখল করেন । বর্তমানের তোড়িয়া ইউনিয়নটি ছিল ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার অন্তরগত । ইখতিয়ারমুহাঃ বখতিয়ার খলজি বাংলা জয়ের পর তুরস্কের লোক তাড়িত হয়ে এই অঞ্চলে বস বাস শুরু করেন । এই নদীর অববাহিকায় তুর্কিদের জনবসতি গড়ে উঠার কারনে এই নদীর নাম হয়েছে তুরনদী । নদী পারাপারের জন্য প্রধান ঘাটছিল তুড়িয়া মনি যার পশ্চিম পাশ্বে প্রথম আদি তুর্কিদের বসতি বা গ্রাম ছিল । বর্তমানে তোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পূর্ব অবস্থিত । এই বসতি কাল ক্রমে তুড়া>তুড়ুম>তুড়িয়া>তড়েয়া>তোড়িয়া হয়েছে ।